বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

https://drive.google.com/drive/folders/1ujtUVHiNwQN0wKVJ4SjKe4XIXHGO0JWv?usp=drive_link 

 https://drive.google.com/drive/folders/1ujtUVHiNwQN0wKVJ4SjKe4XIXHGO0JWv?usp=drive_link

https://drive.google.com/drive/folders/1ujtUVHiNwQN0wKVJ4SjKe4XIXHGO0JWv?usp=drive_link

দুবাইয়ে ১১ হাজার কোম্পানি বাংলাদেশিদের, ছয় মাসে বেড়েছে ৪৭ শতাংশ

 

বিশ্বের ধনীদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয় জায়গা হয়ে উঠছে দুবাই
বিশ্বের ধনীদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয় জায়গা হয়ে উঠছে দুবাই
রয়টার্স

সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) বাংলাদেশিদের মালিকানাধীন নিবন্ধিত কোম্পানির সংখ্যা বাড়ছে। দেশটির একটি রাজ্যে নিবন্ধিত কোম্পানির যে পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে, তাতে এই চিত্র দেখা গেছে। চলতি বছরের কেবল প্রথমার্ধেই (জানুয়ারি থেকে জুন) দুবাই চেম্বার অব কমার্সে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সদস্যপদ নেওয়ার হার ৪৭ শতাংশ বেড়েছে।

ছয় মাসে বাংলাদেশিদের মালিকানাধীন ১ হাজার ৪৪টি কোম্পানি দুবাই চেম্বারের সদস্যপদ নিয়েছে। তাতে দুবাই চেম্বারের সদস্যপদ পাওয়া বাংলাদেশিদের মালিকানাধীন কোম্পানির মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৯৭৫টি।

১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত দুবাই চেম্বার অব কমার্স চলতি মাসে নিজেদের ওয়েবসাইটে এই তথ্য প্রকাশ করে। এই চেম্বারের সাড়ে তিন লাখের বেশি সদস্য কোম্পানি চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ১৩ হাজার ৭০০ কোটি দিরহাম বা ৩ হাজার ৭২৯ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি ও পুনরায় রপ্তানি করেছে বলে ওয়েবসাইটে তথ্য দেওয়া হয়েছে।

মোটাদাগে বলা যায়, পাচারকৃত অর্থ দিয়েই ইউএইতে বাংলাদেশিদের সম্পদ ও ব্যবসা-বাণিজ্য গড়ে উঠছে। আর ১১ হাজার বাংলাদেশি মালিকানাধীন কোম্পানি দুবাই চেম্বারের সদস্য হওয়ার তথ্যই বলছে, দেশটিতে অর্থ পাচার বাড়ছে।
ইফতেখারুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক, টিআইবি
আরও পড়ুন

দুবাইয়ে আরাভ খান একা নন, আছেন আরও অনেক বাংলাদেশি

বাংলাদেশ থেকে অবশ্য বৈধভাবে বিনিয়োগের অনুমতি নিয়ে কেউ ইউএইতে ব্যবসা করছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, এখন পর্যন্ত ১৭ প্রতিষ্ঠান সরকারের অনুমোদন নিয়ে বিদেশে অফিস কিংবা ছোট আকারের কারখানা গড়ে তুলছে।

বৈধভাবে বিদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী দেশীয় উদ্যোক্তাদের সর্বাধিক পছন্দের দেশগুলো হচ্ছে সিঙ্গাপুর, কেনিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত, শ্রীলঙ্কা, সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও হংকং।

বৈধ অনুমতি না থাকলেও ইউএইর দুবাই, শারজাহ, আবুধাবি, আজমানসহ বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাদেশিরা নিজের ও অন্যের নামে ভিলা, ফ্ল্যাট, ছোট হোটেল, তারকা হোটেলসহ নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করেছেন। তবে এসব বিনিয়োগে নিজেদের আড়াল করে রাখছেন অনেকেই। এ জন্য তাঁরা বাংলাদেশের পরিবর্তে আলবেনিয়া, সাইপ্রাসসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকত্ব ব্যবহার করেন বলে জানা যায়।

জানতে চাইলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, মোটাদাগে বলা যায়, পাচারকৃত অর্থ দিয়েই ইউএইতে বাংলাদেশিদের সম্পদ ও ব্যবসা-বাণিজ্য গড়ে উঠছে। আর ১১ হাজার বাংলাদেশি মালিকানাধীন কোম্পানি দুবাই চেম্বারের সদস্য হওয়ার তথ্যই বলছে, দেশটিতে অর্থ পাচার বাড়ছে।

তবে শ্রমিক হিসেবে দেশটিতে গিয়ে বৈধভাবে আয় করে পরবর্তী সময়ে বিনিয়োগ করেছে, এমন শ্রেণিও আছে। সে কারণে দুবাই চেম্বার থেকে পুরো তালিকা নিয়ে যাচাই-বাছাই করা দরকার, কারা বৈধ বিনিয়োগ করেছেন আর কারা অবৈধ বিনিয়োগ করেছেন। সরকার আগ্রহী হলে সহজেই ইউএই সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে এই তালিকা সংগ্রহ করতে পারবে।

দুবাই চেম্বার জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ৩০ হাজার ১৪৬টি কোম্পানি তাদের সদস্যপদ নিয়েছে। তার মধ্যে ২২ শতাংশই ভারতীয়।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আমদানি-রপ্তানির আড়ালে ও হুন্ডির মাধ্যমে বেশিরভাগ অর্থ পাচার হয়। নির্বাচনকালে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সেটি আরও বাড়ে। অবশ্য আইন থাকার পরও তা প্রয়োগ না করার কারণেই অর্থ পাচার উৎসাহিত হচ্ছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকা একাধিক বাংলাদেশি জানান, ইউএইতে চাকরি ছাড়া অন্য যেকোনো ব্যবসা করতে গেলে লাইসেন্স নিতে হয়, আর সেই লাইসেন্সের সময়ই দেশটির চেম্বারের সদস্য হওয়ার ফি নেওয়া হয়। সেখানে পরামর্শক, ট্রেডিং, ফ্ল্যাটের ব্যবসা, জমির ব্যবসাসহ দুই হাজারের বেশি ব্যবসার লাইসেন্স নেওয়ার সুযোগ আছে। দেশ থেকে যাওয়া শিক্ষিতরা ছোট ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছেন, আর প্রভাবশালীরা অর্থ পাচার করে অন্য ব্যবসায় যুক্ত হচ্ছেন। এ জন্য চেম্বারের সদস্যপদ পাওয়া বাংলাদেশিদের সংখ্যা এত বেশি।

আরও পড়ুন

দুবাইয়ে যেভাবে সম্পদ বাড়ছে বাংলাদেশিদের

দুবাই চেম্বারে সদস্য কারা

দুবাই চেম্বার জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ৩০ হাজার ১৪৬টি কোম্পানি তাদের সদস্যপদ নিয়েছে। তার মধ্যে ২২ শতাংশই ভারতীয়। চলতি বছরের প্রথমার্ধে অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৬ হাজার ৭১৭টি ভারতীয় কোম্পানি দুবাই চেম্বারের সদস্য হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৯ শতাংশ বেশি। সব মিলিয়ে ৯০ হাজার ১১৮টি ভারতীয় মালিকানাধীন কোম্পানি এই চেম্বারের সদস্যপদ নিয়েছে।

গত জানুয়ারি-জুন পর্যন্ত ছয় মাসে দুবাই চেম্বারে ভারতীয়দের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সদস্যপদ নিয়েছে আমিরাতের নাগরিকদের মালিকানাধীন কোম্পানি। এমন কোম্পানির সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৪৪৫। আর তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৩৯৫টি সদস্যপদ নিয়েছে পাকিস্তানি মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৯ শতাংশ বেশি। সব মিলিয়ে পাকিস্তানিদের ৪০ হাজার ৩১৫ কোম্পানি সদস্যপদ নিয়েছে।

আরও পড়ুন

আমিরাতে অর্থ পাচার আইন লঙ্ঘনের দায়ে ২২৫ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

দুবাই চেম্বারের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের প্রথমার্ধে মিসরীয় মালিকানাধীন ২ হাজার ১৫৪টি কোম্পানি চেম্বারে যোগ দিয়েছে। তাতে দুবাই চেম্বারে সদস্যপদ পাওয়া মিসরীয় কোম্পানির সংখ্যা ১৮ হাজারে দাঁড়িয়েছে।

অন্যদিকে সিরিয়ার ১ হাজার ১৮৪ কোম্পানি গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে দুবাই চেম্বারে যুক্ত হয়েছে। এতে চেম্বারের সদস্যপদ পাওয়া সিরিয়ার কোম্পানির সংখ্যা বেড়ে ১০ হাজার ৬৭৮ হয়েছে।

দুবাই চেম্বারে বাংলাদেশি কোম্পানির চেয়ে কম সদস্যপদ যুক্তরাজ্য ও চীনের নাগরিকদের। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ৯৬৩টি ব্রিটিশ কোম্পানি এই চেম্বারে যুক্ত হয়েছে। তারপরও চেম্বারটিতে সদস্যপদ নেওয়া যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীদের মালিকানাধীন কোম্পানির সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়ায়নি। অন্যদিকে চীনাদের কোম্পানির সংখ্যা ৮ হাজার ২৬৫।

দুবাই চেম্বারের সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ আলী রাশেদ লোথ এক বিবৃতিতে বলেছেন, চেম্বারের নতুন সদস্যের তালিকায় বিভিন্ন দেশের জাতীয়তাই প্রমাণ করে দুবাইয়ে গতিশীল ব্যবসায়িক পরিবেশ বিদ্যমান রয়েছে। একই সঙ্গে তা বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার সক্ষমতাকেও প্রতিফলিত করে।

দুবাই চেম্বারের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে সদস্য হওয়া ৪২ দশমিক ৪ শতাংশ ট্রেডিং ও মেরামত সেবা খাতের কোম্পানি। এ ছাড়া ৩০ দশমিক ৮ শতাংশ সদস্য আবাসন, সম্পত্তি ভাড়া ও ব্যবসায়িক সেবা খাতের কোম্পানি। ৭ দশমিক ২ শতাংশ সদস্য প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্মাণ খাতের।

আরও পড়ুন

বিদেশে অর্থ পাচার: ফেরেনি এক টাকাও, কারণ ‘কেউ পাচারকারীর তালিকায়’ নাম ওঠাননি

বিদেশে অর্থ পাচার: ফেরেনি এক টাকাও, কারণ ‘কেউ পাচারকারীর তালিকায়’ নাম ওঠাননি

যেভাবে সম্পদ গড়ছেন বাংলাদেশিরা

বিত্তবান বিদেশিদের আকৃষ্ট করতে ২০১৯ সালে গোল্ডেন ভিসা চালু করে ইউএই। ২০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ অর্থসম্পদের মালিকানা থাকলেই এ ভিসার জন্য আবেদন করা যায়। বিদেশিদের বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধও শিথিল করা হয়েছে। বাড়ি কেনার লেনদেনের ৭০ শতাংশ করা যাচ্ছে নগদ অর্থে। এ সুযোগ দেওয়ার পরই দুবাইয়ে বাংলাদেশিসহ অনেক দেশের নাগরিকদের সম্পদ কেনার পরিমাণ হু হু করে বাড়তে থাকে।

দুবাইয়ে তিন-চার কক্ষের ফ্ল্যাট কিনতে মোটামুটি খরচ হয় তিন থেকে চার লাখ দিরহাম, যা বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকার সমান। অর্থাৎ রাজধানী ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোর চেয়ে দুবাইয়ে ফ্ল্যাটের মূল্য কম।

জানা যায়, আজমান রাজ্য এবং দুবাইয়ের পাম জুমেইরা, এমিরেটস হিল, সিলিকন ওয়েসিস, বিজনেস বে—এসব এলাকায় অনেক বাংলাদেশি নিজস্ব ভিলা গড়ে তুলেছেন। শত শত একর জমিও কিনেছেন কেউ কেউ।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজের সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি গত জানুয়ারিতে জানিয়েছে, তথ্য গোপন করে দুবাইয়ে সম্পদ কিনেছেন ৪৫৯ জন বাংলাদেশি। ২০২০ সাল পর্যন্ত তাঁদের মালিকানায় সেখানে মোট ৯৭২টি প্রোপার্টি ক্রয়ের তথ্য পাওয়া গেছে, কাগজে-কলমে যার মূল্য সাড়ে ৩১ কোটি ডলার।

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ থেকে বিদেশে বিনিয়োগ কত

বাংলাদেশ থেকে বিদেশে বিনিয়োগ কত

ইউএইতে জনসংখ্যার ১০ শতাংশের বেশি বাংলাদেশি, যাঁদের বড় অংশই শ্রমিক। তাঁরা নিয়মিত বাংলাদেশে আয় পাঠান। সেই আয় বা রেমিট্যান্স সেখানেই কিনে নিয়ে দেশে তাঁদের স্বজনদের টাকা পরিশোধ করে দেওয়া হয়। এটিই হুন্ডি কার্যক্রম এবং একটি চক্র এর সঙ্গে জড়িত। প্রবাসী আয় পাঠানো ইউএইতে একটি বহুল প্রচলিত ব্যবসা।

বাংলাদেশ থেকে বিভিন্নভাবে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয় বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ রয়েছে। অর্থ পাচার রোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যতম সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। কিন্তু পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংস্থাটি। অর্থ পাচার বন্ধে সরকারের খুব বেশি পদক্ষেপ দেখা যায় না।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, কানাডায় বাড়ি ও মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোমের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশিদের ইউএইতে সম্পদ ও ব্যবসা-বাণিজ্য গড়ে তোলার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুসন্ধান করা উচিত, কারা দুবাই চেম্বারের সদস্য হয়েছেন। তাঁরা হুন্ডি করে বা ব্যাংকঋণের টাকা সেখানে নিয়ে গেছেন কি না। বেআইনিভাবে অর্থ মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে নিয়ে গেলে অবশ্যই সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। কারণ, তাঁদের কারণে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

উখিয়ায় র‍্যাবের অভিযানে আরসার দুই কমান্ডারসহ চারজন গ্রেপ্তার, ৪৩ কেজি বিস্ফোরক, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

 

কক্সবাজারের উখিয়ার র‍্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার আরসার দুই কমান্ডার ও তাঁদের দুই বাংলাদেশি সহযোগী। আজ কক্সবাজার র‍্যাব কার্যালয়ে দুপুরে
কক্সবাজারের উখিয়ার র‍্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার আরসার দুই কমান্ডার ও তাঁদের দুই বাংলাদেশি সহযোগী। আজ কক্সবাজার র‍্যাব কার্যালয়ে দুপুরে
ছবি : প্রথম আলো

কক্সবাজারের উখিয়ার দুর্গম পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) দুই কমান্ডারসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। এদের মধ্যে রহিমুল্লাহ প্রকাশ মুছা নামের আরসার একজন শীর্ষ কমান্ডার রয়েছেন। গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে দুজন আরসার বাংলাদেশি সহযোগী। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের তেতেলখোলা-বরইতলী পাহাড়ে এ অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের একটি দল। এ সময় ৪৩ কেজি বিস্ফোরক দ্রব্য, ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।

আজ বুধবার দুপুরে র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আরসার শীর্ষ দুই কমান্ডারকে গ্রেপ্তারের কথা জানান র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

গ্রেপ্তার আরসার সদস্যরা হলেন উখিয়ার বালুখালী আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-১৮) বাসিন্দা ও আরসার গান কমান্ডার রহিমুল্লাহ ওরফে মুছা (২৭) এবং মধুরছড়া আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-৪) বাসিন্দা ও আরসার কমান্ডার শামছুল আলম ওরফে মাস্টার শামসু (২৯)। গ্রেপ্তার দুই বাংলাদেশি নাগরিক হলেন কক্সবাজার সদরের বাসিন্দা মো. শফিক (২৮) ও মো. সিরাজ (৩০)। অভিযানে ৪৩ কেজি ৩১০ গ্রাম বিস্ফোরক দ্রব্য, ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ওয়ান শুটারগান, ৪টি পিস্তলের গুলি, ৩টি ওয়ান শুটারগানের গুলি এবং দুটি মুঠোফোন সেট উদ্ধার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, অভিযানে ক্লোরেটস, ব্রোমেটস, পটাশিয়াম ও হেক্সামিথাইলিন টেট্রামাইন–জাতীয় রাসায়নিক পাওয়া গেছে, যা উচ্চ বিস্ফোরক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরসা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন গ্রেপ্তার দুই কমান্ডার। উখিয়া থানায় হস্তান্তর করে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব কর্মকর্তারা বলেন, মঙ্গলবার মধ্যরাতে র‍্যাবের একটি দল পালংখালীর তেলখোলা-বরইতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশি নাগরিক মো. শফিক ও মো. সিরাজকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় দুজনের কাছ থেকে ৬ কেজি ৫৩০ গ্রাম বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়। এরপর তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গহিন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে আরসার দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী ও কমান্ডার রহিমুল্লাহ ও শামছুল আলমকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এ সময় দুই সন্ত্রাসীর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় আরও ৩৬ কেজি ৭৮০ গ্রাম বিস্ফোরক দ্রব্য, ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ওয়ান শুটারগান ও বেশ কিছু গুলি।

র‍্যাবের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রহিমুল্লাহ ওরফে মুছার বাড়ি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে। ২০১৭ সালে সীমান্ত অনুপ্রবেশ করে বাংলাদেশে এসে উখিয়ার শরণার্থী ক্যাম্পে অবস্থান নেন তিনি। ২০১৮ সালে তিনি আরসায় যোগ দেন। পরবর্তী সময়ে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকায় মুছা অস্ত্র ও বোমা তৈরি প্রশিক্ষণ নেন। মুছা বোমা তৈরি ও অস্ত্র চালানোয় বিশেষ পারদর্শী হওয়ায় সম্প্রতি তাঁকে আরসার গান কমান্ডার করা হয়।

মুছা পাহাড়ে আরসার অন্য সদস্যদের বোমা তৈরি ও অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ দিতেন। তিনি আশ্রয়শিবিরের হেড মাঝি আজিম উদ্দিন হত্যা, মাঝি জাফর আলম হত্যা, ৬ রোহিঙ্গা শিক্ষক-ছাত্র হত্যা, এপিবিএন পুলিশের ওপর হামলার মামলাসহ ১২টির বেশি মামলার পলাতক আসামি। ২০২২ সালের নভেম্বরে গোয়েন্দা সংস্থা ও ক্লাবের মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানের সময় সন্ত্রাসীদের হামলায় গোয়েন্দা সংস্থার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিহত হন এবং একজন র‍্যাব সদস্য গুরুতর আহত হন। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মুছাও জড়িত ছিলেন বলে র‍্যাব দাবি করে।

গ্রেপ্তার অপর সন্ত্রাসী শামছুল আলম ওরফে মাস্টার শামসু মিয়ানমারের নাগরিক। ২০১২ সালের শেষে দিকে তিনি অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরে অবস্থান নেন। ২০১৩ সালে ভুয়া পাসপোর্ট তৈরি করে শামছুল আলম মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে পাড়ি জমান। ২০১৮ সালে পুনরায় বাংলাদেশে ফিরে এসে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে শরণার্থী হিসেবে বসবাস শুরু করেন। ২০১৯ সালে তিনি আরসায় যুক্ত হন। পরে তিনি অস্ত্র চালনা ও রণকৌশল সম্পর্কে প্রশিক্ষণ লাভ করেন। হেড মাঝি হোসেন ও কামাল হত্যাকাণ্ডসহ কয়েকটি মামলার পলাতক আসামি শামছুল।

দুই বাংলাদেশির মধ্যে শফিক কৃষিকাজের পাশাপাশি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তিনি পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য এবং মাদক সংগ্রহ করে নিজের বাড়িতে মজুত রাখতেন। পরবর্তী সময়ে বিস্ফোরক দ্রব্য আরসার শীর্ষ নেতাদের কাছে সরবরাহ করতেন।

গ্রেপ্তার অপর বাংলাদেশি মো. সিরাজ ইজিবাইক টমটম চালনার পাশাপাশি মাদকের কারবার করতেন। শফিকের আনা বিস্ফোরক দ্রব্য তিনি টমটমে করে আরসা নেতাদের কাছে পৌঁছে দিতেন।

উল্লেখ্য, গত ২২ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়া-শামলাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা র‍্যাব আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী হাফেজ নুর মোহাম্মদসহ ছয়জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছিল।

বিভাগে প্রথম, সহকারী জজ নিয়োগেও প্রথম নুসরাত

 

নুসরাত জেরিন জেনী
নুসরাত জেরিন জেনী
ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ৪০তম ব্যাচে প্রথম বর্ষ থেকেই ফলাফলে প্রথম নুসরাত জেরিন জেনী। টানা চার বছর প্রথম স্থান ধরে রেখে স্নাতক শেষ করেন। স্নাতকোত্তরে থাকা অবস্থায় ষোড়শ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের (বিজেএস) সহকারী জজ নিয়োগের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। সেখানেও পেয়েছেন সফলতা। সারা দেশে হয়েছেন প্রথম।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী নুসরাত জেরিন স্নাতকে ৩ দশমিক ৮৩ সিজিপিএ অর্জন করেছেন। স্নাতকোত্তরেও সর্বোচ্চ সিজিপিএ আশা করছেন তিনি। স্নাতকে সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জন করায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গোল্ড মেডেলের জন্য নমিনেটেড হয়েছেন। বর্তমানে স্নাতকোত্তরে পড়ছেন।

আরও পড়ুন

ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৯ম থেকে ১৬তম গ্রেডে চাকরি, পদ ২৫টি

সহকারী জজ নিয়োগের যে সিলেবাস তার ৬০ শতাংশ অ্যাকাডেমিক পড়াশোনার মধ্যে পড়ে। পরবর্তী সময়ে এ পড়াগুলো বারবার পড়েছি
নুসরাত জেরিন

নুসরাতের জন্ম গাইবান্ধায়। বেড়ে উঠেছেন বগুড়ায়। বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বগুড়া থেকে জিপিএ–৫ নিয়ে এসএসসি পাস করেন এবং সরকারি আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া থেকে জিপিএ–৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। সহকারী জজ নিয়োগের এটি দ্বিতীয় পরীক্ষা তাঁর। এর আগে ১৫তম বিজিএস পরীক্ষা দেন। নুসরাত জেরিন বলেন, স্নাতকের যেদিন ভাইভা শেষ হয়, তারপরই একটা সার্কুলার পাই। সেটাতে ভালোভাবে পরীক্ষা দিতে পারেনি।

নুসরাত জেরিন জেনী
নুসরাত জেরিন জেনী
ছবি: সংগৃহীত

সহকারী জজ হওয়ার স্বপ্ন আগে থেকে ছিল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে নুসরাত জেরিন বলেন, ‘আমি এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ–৫ পেয়ে মেডিকেলে ভর্তির জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলাম। ইচ্ছে ছিল চিকিৎসক হওয়ার। এরপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগে ভর্তির সুযোগ পাই। আইনে ভর্তি হওয়ার সময় সহকারী জজ নিয়োগসংক্রান্ত জ্ঞান খুবই কম ছিল। ভর্তির পরপরই সহকারী জজ নিয়োগের একটা ব্যাচের ফল হয়। অনেক সিনিয়র আপু চাকরির সুযোগ পান। এরপর ধীরে ধীরে সহকারী জজ নিয়োগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারি।’

নুসরাত জেরিন বলেন, ‘ইচ্ছে ছিল বিভাগে প্রথম হওয়ায়। এ জন্য শুরু থেকেই পড়াশোনায় মনোযোগী ছিলাম। স্নাতকের চার বছরেই প্রথম স্থান ধরে রাখতে পেরেছি। আমার ধ্যান-জ্ঞান ছিল অ্যাকাডেমিক পড়াশোনায়। সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় যেহেতু অ্যাকাডেমিক থেকে ৬০০ নম্বর কাভার করে তাই আগে থেকেই অ্যাকাডেমিক পড়াশোনায় ভালো থাকায় সুবিধা পেয়েছিলাম। পরীক্ষার জন্য সাধারণ অংশের চেয়ে আইন অংশে আমার প্রস্তুতি ভালো ছিল। আমার মনে হয় এজন্য আমি ভালো ফলাফল করতে পেরেছি।’

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক পদে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে

সহকারী জজ নিয়োগের প্রস্তুতির বিষয়ে নুসরাত বলেন, ‘যেহেতু স্নাতকে ভালো ফল আছে। তাই স্নাতকোত্তরেও ভালো ফলাফল করার জন্য মনোযোগী হই। এর মাঝেই সহকারী জজ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি আসে। সেখানে আবেদন করি। যেহেতু আবেদন করেছি, তাই ইচ্ছে ছিল যেন কোয়ালিফাই করতে পারি। অ্যাকাডেমিক অংশের প্রস্তুতি আগে থেকে থাকলেও সাধারণ অংশের প্রস্তুতি তেমন ছিল না। আবেদনের পরপর সাধারণ অংশের জন্য জোরালো প্রস্তুতি শুরু করি। সিনিয়ার আপুদের পরামর্শ আমার প্রস্তুতিতে খুবই সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। বিশেষ করে আগের বিজেএসে সুপারিশপ্রাপ্ত সাদিয়া হক আপুর দিকনির্দেশনা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে।’

আরও পড়ুন

ষোড়শ বিজেএসের সহকারী জজ নিয়োগের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১০৪

নুসরাত জেরিনের মতে, প্রথম বর্ষ থেকেই যেহেতু তিনি পড়াশোনা করেছিলেন, এর সুবিধা পেয়েছেন সহকারী জজ নিয়োগের পরীক্ষায়। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের পড়া বিষয়গুলো চাকরির পরীক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তিনি বলেন, ‘সহকারী জজ নিয়োগের যে সিলেবাস তার মধ্যে ৬০ শতাংশ অ্যাকাডেমিক পড়াশোনার মধ্যে পড়ে। পরবর্তী সময়ে এ পড়াগুলো বারবার পড়েছি।’ আজকের সফলতার জন্য মা–বাবা, শিক্ষক ও বন্ধু সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

আরও পড়ুন
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)
ফাইল ছবি

৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখার কার্যক্রম চালাচ্ছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। প্রথম পরীক্ষকেরা এই বিসিএসের খাতা দেখার কার্যক্রম শেষ করেছেন। এখন কয়েক দিন ধরে এসব খাতা পিএসসি যাচাই করে তা দ্বিতীয় পরীক্ষককে দেওয়া শুরু করেছে। পিএসসি চাইছে ৪৩তম বিসিএসের ভাইভা শেষ করতে করতেই যেন এই বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সব খাতা দেখা শেষ করা যায়। এই লক্ষ্যেই পরীক্ষকদের সময়ও বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। পিএসসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

আরও পড়ুন

বিসিএসের ভাইভা বোর্ডে কারা থাকেন, কীভাবে তাঁদের নির্বাচিত করা হয়

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আনন্দ কুমার বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রথম পরীক্ষকেরা ৪৪তম বিসিএসের খাতা দেখা শেষ করেছেন। আমরা আবার সেগুলো যাচাই–বাছাই করছি। কয়েক দিন ধরে যাচাই করা এসব খাতা দ্বিতীয় পরীক্ষকেরা নিয়ে যাচ্ছেন। এ খাতা যেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেওয়া শেষ করেন, সেটি খাতা দেখার সময় বলে দেওয়া হচ্ছে।’

আরও পড়ুন

ইউনিয়ন সমাজকর্মীর চাকরিপ্রার্থীদের ৫ বছরের অপেক্ষার অবসান কি অক্টোবরে

পিএসসির আরেকটি সূত্র জানায়, বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখতেই সবচেয়ে বেশি সময় লাগে। এ ছাড়া প্রথম ও দ্বিতীয় পরীক্ষক খাতা দেখার পর যদি খাতায় ২০ শতাংশ বা এর বেশি নম্বরের পার্থক্য থাকে তাহলে তা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে যায়। এটিতেও সময় লাগে। এবার যাতে খাতা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই দেখা শেষ করা যায়, সে বিষয়ে পিএসসি সচেষ্ট আছে। এই বিসিএসের খাতা দেখা এমনভাবে পিএসসি শেষ করতে চায় যাতে ৪৩তম বিসিএসের ভাইভা শেষ পর্যায়ে চলে আসে। পিএসসি চাইছে এর মধ্যে খাতা দেখা শেষ করতে পারলে ৪৩তম বিসিএসের ভাইভা শেষ করার পরপরই ৪৪তম বিসিএসের ভাইভা শুরু করা যায়। এটি হলে সময় কমে আসবে।  

ছবি: প্রথম আলো
আরও পড়ুন

ঢাকা ওয়াসায় ৯ম ও ১০ম গ্রেডে চাকরি, পদ ৪৫

৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর শুরু হয়, শেষ হয় এ বছরের জানুয়ারিতে। পিএসসি সূত্র জানায়, এই লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখা সময়মতো শেষ করতে চায় পিএসসি। আর খাতা দেখায় যাতে পরীক্ষকেরা দেরি না করেন, সে জন্য তাঁদের খাতা সঠিক সময়ে জমা দেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো পরীক্ষক সময়মতো খাতা জমা না দেন, তাহলে তাঁকে পরবর্তী সময়ে আর খাতা দেওয়া হবে না বলেও জানায় পিএসসির ওই সূত্র।

আরও পড়ুন

বিভাগে প্রথম, সহকারী জজ নিয়োগেও প্রথম নুসরাত

২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৪৪তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন শুরু হয়। আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি। ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষায় মোট ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ জন চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছিলেন। পরে তা বাড়িয়ে ২ মার্চ নির্ধারণ করে পিএসসি। এরপর গত বছরের ২৭ মে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ২৫ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের মাধ্যমে রেকর্ড করে পিএসসি। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১৫ হাজার ৭০৮ জন পরীক্ষার্থী পাস করেন। ৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ক্যাডারে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নেওয়া হবে।

রবিবার, ২৮ মার্চ, ২০২১

 Hubei University of Technology

🛡️ Location: Hubei
March intake,2021
Direct Major
️ Scholarship:
Tuition fee: 7000 RMB
Accomodation fee:3000RMB
Bachelor major( English Taught)
1. Computer Science and Technology
2. Civil engineering
3. Electrical engineering and Automation
4. Mechanical Engineering and Automation
5. Pharmaceutical engineering
6. International trade and economics
7. Software engineering
🛑Other costs:
Visa extension fee: 400 RMB / year
Health checkup fee :400 RMB (only for 1st year)
Insurance fee ;600-800 RMB/ year
Deposit for accommodation: 1000 RMB (refundable)
⚙️ Required documents:
1. Passport
2. Photo ( white background)
3. Certificate and transcripts
4. Health checkup
5. English proficiency certificate
6. Police clearance
7. Bank statement
8. Video of self introduction (3 minutes)
9. Application form
10. If anyone has study gap need supporting documents
For more information
The Best Foreign Education.
💬Wechat: TBFE_Official
📧tbfedu.bd@outlook.com
📞Phone,Whatsapp
+8615797714667, 🇧🇩 +8801710796887